মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টায় বঙ্গভবনে তারা এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এছাড়াও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা, মন্ত্রীসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, জনপ্রতিনিধি, সরকারি – সামরিক-বেসামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষসহ সমাজের বিশিষ্টজনরা।

বিকেল সাড়ে চারটায় ভুটানের রাজা ও তাঁর স্ত্রী বঙ্গভবনে পৌঁছালে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও তাঁর সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা।

<div  দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বঙ্গভবনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভুটানের রানি জেৎসুন পেমা, রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রেবেকা সুলতানা এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ।</p></div>

এরকিছু পর বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন ছোটবোন শেখ রেহানা এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ।

ভুটানের রাজা রাষ্ট্রপতির সাথে কিছুক্ষণ আলোচনা করে। এসময় বঙ্গভবনের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন তিনি। পাঁচটায় সংবর্ধনা মঞ্চে আসেন রাষ্ট্রপতি ও ভুটানের রাজা। এসময় বাংলাদেশ ও ভুটানের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। পরে স্বাধীনতা দিবসের কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং ভুটানের রাজা। এসময় শিল্পীরা দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। এই সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া দেশ ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকায় পৌঁছান।

এ সময় বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় অতিথি রাজা ওয়াংচুককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। তাকে স্বাগত জানানোর পর গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় উভয় দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে তার দলীয় নেতাদের নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়েও স্বাক্ষর করেন।

ভুটানের রাজার সফরের প্রথম দিন বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ৩টি নতুন সমঝোতা স্মারক সই এবং পুরোনো একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। পরে দুই নেতার মধ্যে বৈঠক শেষে ৩টি সমঝোতা স্মারক সই ও একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।

সফরের তৃতীয় দিন আগামীকাল বুধবার (২৭ মার্চ) পদ্মা সেতু এবং নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন এবং পরদিন ২৮ মার্চ কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভুটানের রাজার বাংলাদেশ ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

সফরের শুরুর দিন রাজা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।